Tuesday , March 21 2023

পিকআপের ধাক্কায় একসঙ্গে নিহত

পিকআপের ধাক্কায় একসঙ্গে নিহত , ছয় ভাইয়ের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে বুধবার সকালে মালুমঘাটে এসেছেন বহু সংগঠন ও ব্যক্তি। আটজন

নারী যারা তাদের সন্তান ও স্বামী হারিয়েছেন তারা অনেক সাহায্য ও সহযোগিতা পেয়েছেন। দুর্ঘটনার পর উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের কয়েকজন

উপস্থিত ছিলেন। তবে দুর্ঘটনার ১৮ দিন পর বুধবার কক্সবাজারের প্রথম জেলা প্রশাসক মো. মালুমঘাটে গিয়েছিলেন মামুনুর রশীদ।এর আগে বেলা

একটার দিকে মালুমঘাটে পৌঁছান হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত। তিনি সবাইকে অসহায় পরিবারের পাশে

দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। ঘটনাটি নিছক দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত তা খতিয়ে দেখতে তদন্তকারী সংস্থাকে অনুরোধ করেছেন রানা দাশগুপ্ত।এ সময়

হ্যান্ড মাইক্রোফোনে রানা দাশগুপ্ত বলেন, আহত ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পিকআপটি একবার নিহত হওয়ার পর পিছন গিয়ে আবার আহতদের পিষে

দেয়। যদি হয়ে থাকে, তাহলে চালক ইচ্ছাকৃতভাবে পেছনে ফেলেছেন নাকি অন্য কোনো কারণে তা খুঁজে বের করার দায়িত্ব পুলিশের। পরিকল্পনা

পিকআপের ধাক্কায় একসঙ্গে নিহত

করলে মামলার পরিবর্তন হবে। কারণ সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডের সর্বোচ্চ শাস্তি ছয় বছরের কারাদণ্ড এবং পরিকল্পিত দুর্ঘটনার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।রানা দাশগুপ্ত ও পরিষদ নেতা পরিমল চৌধুরী হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অনুদানের অর্থ পরিবারের মৃণালিনী সুশীল (মনু) ও তার পুত্রবধূদের হাতে তুলে দেন। এছাড়াও তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন চট্টগ্রাম জেলা সৎসঙ্গের সভাপতি সজীব সিং, ইসকনের সেক্রেটারি চিন্ময় দাস ব্রহ্মচারীসহ আরও অনেকে।আজ নিহতদের পরিবারের কাছে ত্রাণ সামগ্রী হস্তান্তর করা হয়েছেআজ নিহতদের পরিবারের সদস্যদের কাছে সহায়তা সামগ্রী হস্তান্তর করা হয়েছে। ছবি: সৌরভ দাসবেলা দেড়টার দিকে জেলা প্রশাসকের বাসায় পৌঁছান। পুশআপে নিহত ব্যক্তির পরিবারকে আশ্রয়ণ প্রকল্পে আটটি আলাদা ঘর দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। এছাড়া আর্থিক সহায়তাও দেন জেলা প্রশাসক। ডুলাহাজরা নাথপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে তাদের আটটি ঘর

দেওয়া হবে বলে জানান তিনি

দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।এর আগে সকালে এএসপি মো. তফিকুল আলম, চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাত উজ জামানসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।৮ ফেব্রুয়ারি চকরিয়ার মালুমঘাট এলাকায় পিকআপ ট্রাকের ধাক্কায় সুরেশ সুশীলের ছয় ছেলে নিহত হয়। এর আগে, ৩০ জানুয়ারি সুরেশ সুশীল অসুস্থ হয়ে মারা যান।মৃত্যুর দশম দিনে শ্মশান থেকে ফেরার পথে বাড়ির কাছে পিকআপটি তাদের ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে নেওয়ার পথে পাঁচ ভাইয়ের মৃত্যু হয়। আহত হয় রক্তিম সুশীল, প্লাবন সুশীল ও বোন হীর সুশীল। গতকাল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রক্তিম। হীরা এখনও হাসপাতালে। এ ব্যাপারে চকরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পিকআপের চালক সাইফুল ইসলামকে ঢাকা থেকে আটক করা হয়েছে। মামলাটি পিবিআই তদন্ত করছে।

আরো পড়ুন

About admin

Check Also

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জুলাইয়ের মাঝামাঝি সৌদি আরব সফর করবেন। সফরকালে বাইডেন সৌদি আরবের বাদশাহ …

Leave a Reply

Your email address will not be published.