আর 280 দিন পর কাতারে শুরু হবে বিশ্বকাপ ফুটবল , বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল না থাকলেও দর্শক-ভক্তদের পরা টি-শার্টে রয়েছে লাল-সবুজের
দেশের নাম। চট্টগ্রামের একটি কারখানায় ফিফার লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের জন্য টি-শার্ট তৈরি হচ্ছে। কোম্পানিটি গত সপ্তাহে টি-শার্টের একটি
চালানও রপ্তানি করেছে।আগামী ২১ নভেম্বর কাতারে শুরু হবে বিশ্বকাপ। দেশের আটটি স্টেডিয়ামে ফুটবল উৎসব চলবে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ফিফা
বিশ্বকাপের জন্য পোশাক ও সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য বিশ্বখ্যাত সংস্থাগুলিকে লাইসেন্স দেয়। লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোম্পানিগুলো বিভিন্ন দেশের
কোম্পানিগুলোকে জার্সি, টি-শার্ট, জ্যাকেটসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি তৈরির অর্ডার দেয়।কাতার ফিফা বিশ্বকাপের পোশাক সরবরাহের জন্য অন্য
অনেকের মতো একটি সুপরিচিত রাশিয়ান স্পোর্টসওয়্যার সরবরাহকারী। প্রতিষ্ঠানটি গত বছর চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের গোসাইলডাঙ্গার সনেট টেক্সটাইল
লিমিটেডকে ছয় লাখ টি-শার্ট তৈরির অর্ডার দেয়। প্রক্রিয়া শেষে ফিফার অনুমোদনের পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে টি-শার্ট উৎপাদন শুরু করে
প্রতিষ্ঠানটি। ছয় লাখ টি-শার্টের রপ্তানি মূল্য ১৫ লাখ মার্কিন ডলার বা প্রায় ১৩ কোটি টাকা।আগ্রাবাদের গোসাইলডাঙ্গা এলাকায় সনেট টেক্সটাইলে গিয়ে
দেখা যায়, ফুটবল বিশ্বকাপের টি-শার্টের দ্বিতীয় চালান প্যাকেজ করা হচ্ছে। শ্রমিকরা পুরুষ ও মহিলাদের জন্য চার রঙের টি-শার্টের মান পরীক্ষা করে
আর 280 দিন পর কাতারে শুরু হবে বিশ্বকাপ ফুটবল
কার্টনে রাখছেন। আখতার নামের এক সহকর্মী প্রথম আলোকে বলেন, “আমি দুই বছর ধরে কারখানায় কাজ করছি। বিশ্বকাপের জন্য অফিসিয়াল টি-শার্ট তৈরির সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে ভালো লাগছে।”কারখানার কর্মকর্তাদের মতে, ফিফার অফিসিয়াল টি-শার্ট তৈরিতে কঠোর শর্ত মানতে হয়। বাইরে কোনো টি-শার্ট সরবরাহ করা যাবে না। আবার, ডিজাইন থেকে সবকিছু কোথাও স্থানান্তর করা যাবে না।সনেট টেক্সটাইলের পরিচালক গাজী মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, গত বৃহস্পতিবার তিন লাখ টি-শার্ট পাঠানো হয়েছে। আরও তিন লাখ টি-শার্ট রপ্তানির অপেক্ষায় রয়েছে। এর আগে তিনি আরও বলেছিলেন যে তাদের সংস্থা রাশিয়া বিশ্বকাপ ও ইউরো কাপের টি-শার্ট রপ্তানি করছে। গাজী মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ নিটওয়্যার প্রস্তুতকারকদের সংগঠন বিকেএমইএর পরিচালক।সরেজমিনে দেখা যায়, সাততলা ভবনের এ কারখানায় কাজ করছেন ৬শ’ শ্রমিক। 2009 সালে
প্রতিষ্ঠি সনেট টেক্সটাইলের আরও
প্রতিষ্ঠি সনেট টেক্সটাইলের আরও দুটি পোশাক কোম্পানি রয়েছে। গ্রুপটির বার্ষিক রপ্তানি হচ্ছে ২০ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১৬১ কোটি টাকা। ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১০-১২ জন ক্রেতা এ কারখানা থেকে কাপড় কেনেন।টানা চার বছর ধরে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ফুটবলের এই বড় ইভেন্টে বোনা পোশাকই প্রধান বৈশিষ্ট্য। নিটওয়্যার প্রস্তুতকারকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্বকাপের মতো বড় আয়োজনে প্রতিবারই বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ টি-শার্ট ও জার্সি রপ্তানি হয়। এবারও।রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, চলতি 2021-22 অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ছয় মাসে রপ্তানি হয়েছে 2,954.69 বিলিয়ন ডলার। মোট রপ্তানি আয়ের ৮১ শতাংশ এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে। অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে দুই হাজার তিনশ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত বছরের জুলাই-