Tuesday , March 21 2023

আমি ফেসবুকে স্ক্রোল করছিলাম

আমি ফেসবুকে স্ক্রোল করছিলাম , হঠাৎ আমার চোখে একটা আলোর খবর এল। খবরের শিরোনাম ছিল- ‘ছেলে, মেয়ে,

শ্যালক ও ভাতিজাকে নিয়োগ দিলেন উপাচার্য’। ভিতরে গিয়ে একটু ঘুরে দেখলাম। খবরের একটি অংশ তুলে ধরছি, বিশ্ববিদ্যালয়

মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তদন্তে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শহীদুর রহমান খানের নতুন উচ্চশিক্ষা

প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির চিত্র উঠে এসেছে। এতে দেখা যায়, উপাচার্য তার নিজের ছেলে, মেয়ে, শ্যালক ও ভাতিজাকে

বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ দিয়েছেন। স্ত্রীকেও অধ্যাপক পদে নিয়োগের চেষ্টা করেন। তবে প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগেই তা আটকে

যায়।সব মিলিয়ে ভাইস চ্যান্সেলর তার পরিবারের নয়জনকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ দিয়েছেন। ইউজিসির তদন্তেও আত্মীয়তা

ছাড়া শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে।তারপর কমেন্টগুলো আগ্রহ নিয়ে দেখছিলাম। আমি লক্ষ্য করেছি যে কিছু

লোক খুব অবাক হয়েছে এবং অন্যরা উপাচার্যের উপর ক্ষুব্ধ। অনেকে বকাবকিও করছেন। তাদের ভাষ্য, একজন উপাচার্য কীভাবে এমন অনিয়ম-দুর্নীতি করতে পারেন! উপাচার্যের কর্মকাণ্ডে আমি যতটা বিস্মিত হইনি, ততটা বিস্মিত হয়েছি

আমি ফেসবুকে স্ক্রোল করছিলাম

নেটিজেনদের মন্তব্য বা প্রতিক্রিয়ায়।একজন উপাচার্য অনিয়মিতভাবে নয়জন নিকটাত্মীয়কে নিয়োগ দিয়েছেন, তাতে ক্ষতি কী? এত অবাক হওয়ার কি আছে, রাগ করার কি আছে, কথা বলার কি আছে। এটা না করে তার প্রতি আমাদের সহানুভূতি প্রকাশ করা দরকার যে তিনি তার স্ত্রীকে অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দিতে পারেননি। তার পরিবারের অন্য কোনো সদস্য নিয়োগ থেকে বাদ পড়েছেন কি না তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের খতিয়ে দেখা উচিত এবং তারা বাদ পড়ে থাকলে তাদেরও নিয়োগ দিতে হবে। ভগ্নিপতি কেন চাকরি পাননি তা গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা উচিত। আর আমাদের মিডিয়াগুলোও এমন কেন—তাদেরকে এভাবে অপপ্রচার করার কী আছে যদি একটু (পড়ুন পাহাড়ি) অনিয়ম-দুর্নীতি!আমরা কেন ভুলে যাই, একজন ভাইস চ্যান্সেলর সব পারে। মানে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সবকিছু। তারা চাইলে নিকটাত্মীয়দের নিয়োগ দিতে পারে।নিয়োগের নামে ব্যবসা করতে

 পদত্যাগের জন্য অনশন করলেও ছাত্ররা

পদত্যাগের জন্য অনশন করলেও ছাত্ররা জোঁকের মতো চেয়ার ধরে রাখতে পারে। গর্বিহও শিং-সমুচ। মধ্যরাতে দিনের ক্লাস নিন। রংপুর অফিস হবে ঢাকায়। তিনি ভিসির পদ ছেড়ে যুবলীগে যোগ দিতে চান। তিনি তার মেয়াদের শেষ কর্মদিবসে একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদে ১৪১ জনকে নিয়োগ দিয়ে তার পবিত্র দায়িত্ব পালন করবেন। শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করলে পুলিশ তাদের মারধর করবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে রাজনীতির তীর্থস্থানে পরিণত করুন, শিক্ষা ও গবেষণাকে তলিয়ে যেতে দিন। আন্তর্জাতিক র‌্যাঙ্কিংয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শোচনীয় অবস্থান দেখে লজ্জা পাবেন না। শিক্ষকরা নীল দল ও সাদা দলের সঙ্গে থাকবেন। আচ্ছা, ইউনিভার্সিটিতে নীল দল, সাদা দলের কাজ কী? তারা কি শিক্ষার্থীদের অধিকারের জন্য কাজ করে, নাকি উচ্চ শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করে? এগুলো ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কী ক্ষতি হবে, আর থেকে থেকে কী লাভ

আরো পড়ুন

About admin

Check Also

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জুলাইয়ের মাঝামাঝি সৌদি আরব সফর করবেন। সফরকালে বাইডেন সৌদি আরবের বাদশাহ …

Leave a Reply

Your email address will not be published.